আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪৭
চবিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

চবিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে এম নূর আহমদ। ছবি: দৈনিক বাংলা

কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবিতে কর্মকর্তাদের আন্দোলনের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নূর আহমদ। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সোমবার রাতে কে এম নূর আহমদ নিজেই দৈনিক বাংলাকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের তথ্য দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি আজ (সোমবার) সন্ধ্যার আগে চিঠি পেয়েছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমি যোগ দেব।’

কে এম নূর আহমদ ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে ২০২০ সালের ৩০ জুন অবসর নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পুনরায় কাউন্সিল শাখায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।

এর আগে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কাউকে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের দাবিতে ১ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন চবি কর্মকর্তারা। আন্দোলনের মুখে পরদিন চার দিনের ছুটিতে যান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনিরুল। ওই সময় এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরীকে রেজিস্ট্রারের রুটিন দ্বায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। তবে চার দিনের ছুটি শেষ হলেও অধ্যাপক মনিরুল আর রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেননি। পরে রুটিন দ্বায়িত্বে থাকা মাহবুব হারুনের মেয়াদ পর পর কয়েক দফা বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারের নামফলক কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। এ সময় তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী বলেন, কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কাউকে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার নিয়োগ, কর্মকর্তাদের পদ থেকে শিক্ষকদের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। রেজিস্ট্রার পদে কাউকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না।