ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের উপদেষ্টা ডেরেক শোলে আশ্বাস দিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতার পাশাপাশি এই সংকটের শেকড় সন্ধানে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে তার দেশ।
বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন ডেরেক শোলে।
আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্লিংকেনের এই জ্যেষ্ঠ পলিসি অ্যাডাভাইজার জানান, এই অঞ্চলে বাংলাদেশ যে কাজ করেছে বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের জন্য, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ামনারের ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে।
শোলে বলেন, ‘শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তাসহ সংকটটির গোড়ার কারণ অনুসন্ধানে আমরা সহযোগিতার চেষ্টা করবো। যা মিয়ানমারের মধ্যেই নিহিত।’
মঙ্গলবার দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন শোলে। বুধবার সকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ব্লিংকেনের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ কূটনৈতিক দায়িত্ব সামাল দেয়া শোলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে এসে রোহিঙ্গা সংকট এবং দুদেশের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দেয়ার কারণেই এদেশে এসেছেন বলে জানান শোলে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও খুব ভালো বৈঠক হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৫১ বছরের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এটি। আগামী ৫১ বছর ও তার পরবর্তী সময়ের অপেক্ষায় আছি। … অভিন্ন অনেক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি দুদেশের একই রকমের অনেক সুযোগ আছে। সেটা নিয়েই আমরা আজকে আলোচনা করেছি।’
ডেরেক শোলের আগে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি জানান, দুদেশের সম্পর্ককে আরও ভালো এবং শক্তিশালী করার জন্যই তিনি এসেছেন। নতুন একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শোলের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন তারা। রোহিঙ্গাদের হিউম্যানিট্যারিয়ানে তারা গ্রেটেস্ট কন্ট্রিবিউটর।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা