আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৫৯
৫ গুণ দরপতনে এক মাসের সর্বনিম্ন সূচক
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

৫ গুণ দরপতনে এক মাসের সর্বনিম্ন সূচক

ফাইল ছবি

টানা দরপতন না হলেও হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের সূচক নেমে গেছে এক মাস আগের অবস্থানে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে ৫ গুণের বেশি। লেনদেনও কমেছে সামান্য।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ২৭টির। বিপরীতে দর কমেছে ১৩৭টির। এ ছাড়া অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে আরও ১৪৬টির।

দরপতনের প্রভাবে সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে, ২৪ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল মাস খানেক আগে ১২ জানুয়ারি, ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে।

তবে এই সময়ে টানা সূচক পড়তে দেখা যায়নি। ১৪ কর্মদিবস আগেও সূচকের যে অবস্থান ছিল তা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ২৬ জানুয়ারিতে সূচক চলে গেছিল ৬ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে। এরপর উত্থান-পতনের মাঝেও ৮ ফেব্রুয়ারিতে সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানের কাছাকাছি, অর্থাৎ ৬ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে ছিল। তারপর ওঠানামা করলেও নিম্নমুখী ধারায় চলে গেছে সূচক।

অন্যদিকে ১৮ জানুয়ারি পর ওঠানামার মধ্য দিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটির বৃত্তে আবর্তিত হওয়া লেনদেনও কমে টানা চার কর্মদিবস লেনদেন হলো ৪০০ কোটি টাকার ঘরে।

এদিন হাতবদল হয়েছে ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা আগের কর্মদিবসের চেয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮১ হাজার টাকা কম। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

ফ্লোর প্রাইসে বিপুল সংখ্যক শেয়ার আটকে থাকায় লেনদেন বাড়তে পারছে না বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ট্রানজেকশন বাড়তে পারে দুইভাবে। নতুন ফান্ড ইনজেক্ট হতে হবে। অথবা শেয়ার বেচাকেনার মাধ্যমে ফান্ড রিলিজ ও রি-ইনভেস্টমেন্টর মাধ্যমে। কিন্তু দুটোর কোনোটাই হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে নতুন ফান্ড ইনজেকশন নেই। আর ফ্লোর প্রাইসে থাকার কারণে শেয়ার বিক্রি করা যাচ্ছে না।’