বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের দ্বিতীয় কোম্পানি রবি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
রবির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২২ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
আগামী ২৫ এপ্রিল সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ১৩ মার্চ। সেখানে অনুমোদন পেলে রবির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৭০ পয়সা করে পাবেন।
বুধবার এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকায়।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ২০২২ অর্থবছরে রবি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৫ পয়সা। এ সময় তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ১২ পয়সা।
আগের বছর ২০২১ সালে তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফামূল্য ছিল ৩৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৬ টাকা ২২ পয়সা। ২০১৯ অর্থবছরে রবি মুনাফা করেছিল ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২০ অর্থবছরে ১৫৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মুনাফা করে রবি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
আর ২০২১ অর্থবছরে এ কোম্পানি ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১ দশমিক ৬৫ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
রবির বর্তমান বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৩৮০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা