ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রনি মিয়া (৬) নামে এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাকে হত্যার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলিকুণ্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে রনি মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রনি মিয়া কুলিকুণ্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। কুলিকুণ্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
রনি মিয়াকে হত্যার অভিযোগে আটক দুই কিশোর হলো রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটন মিয়া (১৭)। রিফাত কুলিকুণ্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ও লিটন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রনি মিয়া ইউনিয়নের দাঁতমণ্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ওরসে মাইকিং করে। পরে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিরনগর থানায় একটি ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, শিশু রনি মিয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে খুন করে তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
ওসি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রামের লোকজন রিফাতের সঙ্গে রনি মিয়াকে ওরসে যেতে দেখে। পরিবারের লোকজন রিফাতের ব্যাপারে সন্দেহের কথা জানালে আমরা প্রথমে তাকে আটক করি। রিফাত পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। একই ঘটনায় লিটন মিয়াও জড়িত ছিল বলে জানায়। পরে লিটনকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে সেও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার আরও বলেন, পরে এই দুজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কুলিকুণ্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে রনি মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে। রিফাত ও লিটনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা