ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের নেতারা শোক জানিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতাসীন রানি এলিজাবেথ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট ২০২২) স্কটল্যান্ডের বাড়িতে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
প্রয়াত রানির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশ, যেখানে রানির শাসন ছিল। এমনকি যেসব দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের যুদ্ধ হয়েছিল, সেই দেশগুলোও রানিকে সম্মান জানাতে পিছপা হয়নি। সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র থেকে শুরু করে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশটিও শোক প্রকাশ করেছে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সাল থেকে গতকাল অবধি যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন। পাশাপাশি তিনি কমনওয়েলথভুক্ত বিশ্বের ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন অতুলনীয় মর্যাদার একজন অবিচল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন জোরদার করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রানি এলিজাবেথের মৃত্যু ব্রিটেনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক শোকবার্তায় বলেছেন, তিনি রানির মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা স্মরণ করেন রানির সঙ্গে তিনি কীভাবে নেলসন ম্যান্ডেলা সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেছিলেন। কেনিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো কমনওয়েলথে প্রয়াত রানির প্রশংসনীয় নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, একটি যুগের অবসান হয়েছে।
বিশ্বের আরেক প্রান্তের দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘রানি এলিজাবেথ আমাদের জীবনে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন- আর কানাডীয়দের প্রতি তার অবদান ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।’
কমনওয়েলথের সবচেয়ে ছোট দেশ বারমুডার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ব্রুট বলেন, রানি অবিরাম দায়িত্বপূর্ণ জীবন কাটিয়ে গেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এলিজাবেথ ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ রানি যিনি সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো বলেন, ‘রানি এলিজাবেথ শুধু ব্রিটিশদের রানি ছিলেন না, তিনি আমাদের সবার রানি ছিলেন।’
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ভ্যাটিকানের পোপ ফ্রান্সিস প্রমুখ রানির প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা