চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ ঘটা সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে অক্সিজেন ছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি কারখানার কর্মকর্তারা।
রোববার বিকেলে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।
এসময় তিনি বলেন, ‘অক্সিজেনের পাশাপাশি কার্বনডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন সিলিন্ডারও দেখেছি আমরা। যদিও সেসবের অনুমোদন তাদের ছিল না। সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি, আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুপুর বারোটার সময় আমরা তদন্ত কমিটির প্রথম মিটিং করি। সেখানে গতকাল (শনিবার) যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনা শেষে কমিটির সকল সদস্য নিয়ে এখন এখানে (বিস্ফোরণস্থলে) এসেছি। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা এখান থেকে বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিমের যারা আছেন তারাও সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টি স্টাডি করার জন্য যা যা উপদান সংগ্রহ করা দরকার আমরা করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের গ্যাস সেপারেশন কোলাম যেটি, সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণের সূত্রাপাত হতে পারে। তবে এটির অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, যেটি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুলপুর (কেশবপুর) এলাকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছেন। সর্বশেষ তথ্যমতে, চমেক হাসপাতালে এখন ১৮ জন রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
অক্সিজেন প্ল্যান্টে অনুমোদনহীন কার্বনডাইঅক্সাইড ও নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের বিষয়ে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুন বলেন, ‘এগুলোর অনুমোদন ছিল।’
প্ল্যান্টটি অক্সিজেনের হওয়ায় কেবল অক্সিজেনের অনুমোদন থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, ‘আমরা নাইট্রোজেন উৎপাদন করি না। বাতাস থেকে পরিশোধন করে কেবল অক্সিজেনটা নিই, নাইট্রোজেন আর কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছেড়ে দিই।’
বাতাসে ছেড়ে দিলে কার্বনডাইঅক্সাইড আর নাইট্রোজেন সিলিন্ডারে কীভাবে পাওয়া গেল জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে স্থানত্যাগ করেন তিনি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা