দিনকয়েক আগেই শাহরুখের বাংলো মান্নাতে ঢুকে পড়েছিলেন দুই অনুপ্রবেশকারী। তাদের গ্রেপ্তারও করেছিল মুম্বাই পুলিশ। মামলার সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী পুলিশ সূত্র বলছে যে, ধরা পড়ার আগে ওই ব্যক্তিরা শাহরুখের মেক-আপ রুমে প্রায় আট ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন।
অভিযুক্তরা সকালের দিকে অভিনেতার বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং মান্নাতের তৃতীয় তলায় অবস্থিত অভিনেতার মেক-আপ রুমের ভেতরে লুকিয়ে থাকে বলে, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উভয় অভিযুক্তই খানের বাংলোতে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য লুকিয়েছিল এবং প্রায় আট ঘণ্টা ধরে মেক-আপ রুমে অভিনেতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তারা প্রায় ৩টার দিকে বাড়িতে ঢোকেন এবং পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ধরা পড়েন তারা।’
শাহরুখের বাংলোর ম্যানেজার কলিন ডিসুজা পুলিশকে তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষী তাকে ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ফোন করে জানায় যে, দুজন লোক বাংলোতে প্রবেশ করেছে।
পাঠান সাহিল সেলিম খান এবং রাম সরফ কুশওয়াহা নামে পরিচিত এই দুই ব্যক্তি গুজরাটের ভারুচ থেকে শাহরুখের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওই ব্যক্তিদের আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) অধীনে তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ এবং প্রাসঙ্গিক অপরাধের একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
এফআইআর অনুসারে, অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে পেয়েছিলেন সতীশ নামে হাউসকিপিংয়ের একজন কর্মী। ‘সতীশ তাদের দুজনকেই মেক-আপ রুম থেকে লবিতে নিয়ে যান এবং সেখানে অপরিচিতদের দেখে শাহরুখ খান হতবাক হয়ে যান। মান্নাতের রক্ষীরা তাদের দুজনকেই বান্দ্রা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন’, এফআইআরে বলা হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের মতে, অনুপ্রবেশকারীরা মান্নাতের বাইরের দেয়াল টপকে প্রবেশ করেছিল। দেয়াল লাফানোর চেষ্টা করার সময় দুই ব্যক্তিই খানিক জখমও হন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এসআরকে-এর কর্মীরাই ওই দুই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময়, ২০-২২ বছর বয়সী ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে, তারা কেবলই ‘পাঠান’ তারকার সঙ্গে একবার দেখা করতে চেয়েছিলেন।
শাহরুখের ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছিল ২৫ জানুয়ারি। এক হাজার কোটির ওপর ব্যবসা করে ফেলেছে সেই ছবি। এরপর আসবে কিং খানের ‘জওয়ান’ ও ‘ডাঙ্কি’, যা এই বছরের শেষের দিকে মুক্তি পাওয়ার কথা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা