আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২৩ ২০:৫৪
চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। আগামী সোমবার বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের এক মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করবে চীন।

শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় চীনা প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে বার্ণ হাসপাতাল উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ৯ হাজার বর্গ মিটার জায়গায় ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতালে তিনটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০ টি আইসিইউ, ২৫ টি এইচডিওসহ ১০০টি সাধারণ বার্ন বেড থাকবে।

হাসপাতাল তৈরির বিষয়ে চীনা প্রতিনিধি দল ১২ দিন ধরে নির্ধারিত সাইট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। হাসপাতাল ভবনের নকশা অনুযায়ী সবকিছু পরিমাপ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যাচাই করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাও করেছেন।

ব্রিগেডিয়ার শামীম আহসান বলেন, ‘বার্ন একটি সম্পূর্ণ বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা। ঢাকায় ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে। সেটি ৫০০ শয্যা এবং দেশের সর্ববৃহৎ। তবে আমাদের এটি ১৫০ শয্যার। চট্টগ্রাম জেলাসহ পুরো বিভাগের প্রায় তিন কোটি লোকের হাহাকার ছিল। যখন বেশি বার্ন বা এই ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হত, আমরা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারতাম না। সে চিকিৎসা যখন আমরা দিতে পারব তখন এটি সমগ্র বাংলাদেশ এবং বিশেষ করে চট্টগ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’

‘হাসপাতালের নির্মাণ খরচ থেকে শুরু করেছে সমস্ত যন্ত্রপাতি, ফার্নিচারসহ যাবতীয় সবকিছু চীন সরকার দেবে। শুরুতে আমরা এটি তৈরি অবস্থায় পাব। সেখানে চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য জনবল দিয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করবো আমরা।’

এছাড়া জরুরি ড্রেসিং ও ওটিওসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সেখানে থাকবে। হাতপাতালের জন্য অক্সিজেন, ফার্নিচারসহ যাবতীয় যা যা সব চীন সরকারের ব্যয়ে এটা উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এসময় চীন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি শি চেন বলেন, ‘আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। স্থাপনার নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশ সরকারেরও কিছু কাজ রয়েছে, নকশাকারকদের কাছে হাসপাতাল কাঠামোর বিস্তারিত আছে। এখানে আরও অনেক কিছু করার আছে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে খুব দ্রুতই সমৃদ্ধ একটি হাসপাতাল পাব আমরা।’

এসময় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার, সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।