আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২৩ ২৩:০৭
‘গুপ্তধন’ ভেবে মর্টারশেল ঘরে নিয়ে গেলেন নারী
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

‘গুপ্তধন’ ভেবে মর্টারশেল ঘরে নিয়ে গেলেন নারী

কুমিল্লায় উদ্ধার হওয়া অবিস্ফোরিত মর্টারশেল। ছবি: দৈনিক বাংলা

পাতা কুড়ানোর সময় একটি মর্টারশেলকে গুপ্তধন ভেবে ঘরে নিয়ে যান এক নারী। গত শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মল্লিকা দিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা জানান, মল্লিকা দিঘী এলাকার সুফিয়া বেগম নামে এক নারী পাতা কুড়াতে গিয়ে একটি মর্টারশেল পান। পরে সেটি গুপ্তধন ভেবে ঘরে নিয়ে যান। সুফিয়া বেগমের প্রতিবেশী এক সেনা সদস্য বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটায়।

সোহেল রানা আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে সম্মুখযুদ্ধ হয়েছিল। তখনই হয়তো মর্টারশেলটি অবিস্ফোরিত ছিল। যে জায়গায় মর্টারশেলটি পাওয়া গেছে সেখান মাটি খননের কাজ চলছিল। মাটি খননের কারণে মর্টারশেলটি বেরিয়ে আসে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মল্লিাকা দীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম বাড়ির পাশে শুকনো পাতা কুড়াতে যান। এ সময় তিনি মাটিতে আংশিক পুঁতে থাকা অবস্থায় পিতলের তৈরি একটি বস্তু দেখতে পান। গুপ্তধন মনে করে তিনি সেটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজমের সদস্যরা শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার করেন। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে মাটিতে পুঁতে সেটি ধ্বংস করা হয়।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি মনে করছি এইডা দামি কিছু অইবো। তাই কাপড়ের নিচে কইরা লুকাইয়া ঘরে লইয়া আইছি। পরে হুনি এইডা বোম। এরপর পুকুরে হালাইয়া দিছি।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, ‘এটি অবিস্ফোরিত কামানের গোলা। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা অবিস্ফোরিত বোমা।’