এবারে প্রচুর রোগী পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত চেম্বারে তিন থেকে সাতজন শিশু তো আসছেই হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগে আক্রান্ত হয়ে।
দুই বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তবে ছয় থেকে সাত বছরের শিশুরাও রয়েছে আক্রান্তের তালিকায়।
গত পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে এই রোগ প্রথম দেখেছি, মাঝের সময়টাতে ছিল না। যেমনটা ডেঙ্গুর বেলাতেও দেখা যাচ্ছে, কোনো বছর বাড়ছে, কোনো বছর আবার কমছে। ঠিক সে রকমই এই অসুখটার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে। চলতি বছর রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ থাকবে, এটা ভয়ের অসুখ নয়, ভয় পাওয়া যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা, এতে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। এই অসুখ পাঁচ থেকে ছয়দিনের মধ্যে সেরে যায়। স্কুল থেকে বাচ্চারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তাই কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তাকে অন্তত এক সপ্তাহ স্কুলে না পাঠালেই ভালো। আবার যখন কোনো স্কুলে একাধিক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হচ্ছে। তখন সে স্কুলে না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করব।
হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ অসুখের বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই। কেবল উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা। জ্বর অথবা শরীর ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল দিতে হবে, জ্বর না হলে ওষুধ খাবে না। অতিরিক্ত কোনো ওষুধ খাওয়ানোর দরকার নেই।
আবার কখনো কখনো ঘা শুকানোর সময় সেটা চুলকায়। তখন সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। আর এলার্জি হয় যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি বা অন্য যে খাবার তা এড়িয়ে যেতে হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা