ভারতের সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৫ বছর পার করেছেন গায়ক কুমার শানু। তার জীবনের এই মাইলফলক উদযাপন করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে ফেলেছেন এই শিল্পী। তার মতে, এই সময়ে যে হিন্দি গান হচ্ছে, তা শোনার মতো যোগ্যই নয়। তাই তিনি লতা মঙ্গেশকর কিংবা কিশোর কুমারের গান শোনেন। এমনকি নিজের গানও শোনেন না তিনি।
কুমার শানু ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি লতাজির পুরোনো গানগুলো শুনি। কিশোর কুমার, রাফি সাহেবের গান শুনি। আমি নিজের গানও এড়িয়ে যাই। কিছু ইংরেজি গান শুনি। কিন্তু আজকার হিন্দি গান, একদম না! এগুলো শোনার মতো গানই না। না আমি এ গানগুলো শুনি, না সেগুলো সম্পর্কে জানি।’
‘চুরা কে দিল মেরা’ গানখ্যাত এই গায়ক জানান, বছরের পর বছর ধরে সংগীত ইন্ডাস্ট্রি বদলে গেছে। একটা সময় শিল্পী গান রেকর্ডিংয়ের সময় নায়ক কিংবা অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত থাকতেন না। তারা কোনো ধরনের উপযাচক হয়ে গানের মধ্যে ঢুকতে পারতেন না। এখন তারাই বলে দেয়, এভাবে করো, ওভাবে করো।
কুমার শানুর মতে, এটাই গানের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। অভিনেতা থেকে শুরু করে প্রযোজক, লগ্নিকারী কিংবা পরিচালক সবাই গানের মধ্যে বাঁ হাত দেয়। তারা সংগীত পরিচালককে বলে, শুধু গানটা করে দাও। বাকিটা আমরা দেখছি। কিন্তু আগে এ রকম ছিল না।
নব্বই দশকের এই শিল্পী জানান, আগে কেউ কারও কাজের মধ্যে নাক গলাতেন না। আগে এ রকম ছিল, যদি নাদিম শ্রাবণ মিউজিক করে, তাহলে ভালো হতো, যদি কুমার শানু সংগীত করে, তাহলে ভালো হতো। এখন এই ধরনের আত্মবিশ্বাস নেই। একই গান এখন আট-দশজন গায়। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গায়ক হিসেবে যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা