আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ২০:২৬
সব পর্যায়ে সর্বজনীন কমিটি করতে চায় ঐক্য পার্টি

সব পর্যায়ে সর্বজনীন কমিটি করতে চায় ঐক্য পার্টি

শনিবার চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির বিভাগীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহীম চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা

গ্রাম থেকে শুরু করে শহর কিংবা কেন্দ্র, সর্বত্রই সর্বজনীন কমিটি গঠন করে কাজ করতে চায় নতুন ধারার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহীম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গ্রাম থেকে শুরু করে শহর কিংবা কেন্দ্র, সর্বত্রই সব ধর্ম ও মতের লোক নিয়ে কমিটি গঠন করতে চায়। বর্তমানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্যান্য জোটগুলো কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না, প্রতিশোধ ও পাল্টা-প্রতিশোধের ভয়ে আছে সব জোট। চরম প্রতিশোধের ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না। সব ধর্ম ও মতের লোক নিয়ে গঠিত কোনো দল ক্ষমতায় গেলে সেই দলে কোনো মতের একচেটিয়া লোক না থাকায় প্রতিশোধের আশঙ্কা থাকবে না। এরকম কোনো দল ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। অন্যথা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়ে দেশে সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দেশে এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য গ্রাম থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বজনীন কমিটি গঠনের জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ জানাই।’

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই দুই দলের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মজলুম জীবন যাপন করছে অনেকেই। তাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে আকাশ-বাতাস। ঐক্য, সহ-অবস্থান ও শান্তির রূপরেখা না থাকলে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তাদের অত্যাচারে ক্ষমতাহীনরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এতে ক্ষমতাসীনদের পৌষমাস হলেও সর্বনাশ হবে জনগণের। দেউলিয়াত্বের দিকে যাবে দেশ।’

আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, ‘দেশে সুস্থ রাজনীতির চর্চাসহ সাংবিধানিক সব অধিকার দেশের সব জনগণের জন্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে ঐক্য পার্টি। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাস্তবিক অর্থেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এক গুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি আমরা।’

এসময় কাজী আমান উল্লাহ আমান, মোহাম্মদ জাহেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, শুভ মিত্র রায়, রখাল দাশ, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।