লাল গ্রহ নামে পরিচিত এই গ্রহটিতে বসতি গাড়ার স্বপ্ন মানুষের দীর্ঘদিনের। আর সে জন্যই এটি নিয়ে চলে নানা গবেষণা, অনুসন্ধান। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহে একদা হিমবাহের অস্তিত্ব ছিল। আর তা ছিল এর বিষুবরেখার কাছাকাছি এলাকায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেখানে এখন কোনো বরফের স্তূপ নেই। যা আছে, তা হলো সালফেট লবণ।
গবেষকদের অনুমান, হিমবাহটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ আর চার কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল।
তারা বলছেন, একসময় এখানে অগ্ন্যুৎপাত হতো। সেই আগ্নেয়গিরির লাভা, ছাই, পিউমিস ইত্যাদি পানির সঙ্গে মিশে একটা শক্ত লবণের স্তর তৈরি করে।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করছেন সৌরভ শুভম। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলে অগ্ন্যুৎপাতের ইতিহাস আছে। আর অগ্ন্যুৎপাতের ফলে গলিত লাভা ও অন্যান্য পদার্থ যখন হিমবাহের বরফের সংস্পর্শে আসে, তখনই একটা শক্ত সালফেটের স্তর তৈরি হয়।’
এই হিমবাহগুলো মঙ্গলে বরফযুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। গবেষকরা বলছেন, মঙ্গলের অ্যামজনিয়ান ভূতাত্ত্বিক সময় পর্যন্ত ছিল এই হিমবাহ, যা শুরু হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন বছর আগে।
মঙ্গলের উপরিভাগে এখন আর বরফ নেই। তবে লবণের স্তরের নিচে এখনো বরফ আছে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান গবেষকরা।
সূত্র: সিএনএন
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা