রাফায়েল নাদালের সঙ্গে তাঁর মিল আছে অনেক। দুজনই স্প্যানিয়ার্ড। দুজনই অল্প বয়স থেকেই কোর্ট মাতাচ্ছেন। মাদ্রিদ ওপেনের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ম্যাচজয়ী হিসেবে নাদালের রেকর্ডটা তিনিই ভেঙেছেন। নাদালের পর সর্বকনিষ্ঠ স্প্যানিয়ার্ড হিসেবে এটিপি ট্যুর শিরোপা জেতার কৃতিত্বটা তাঁরই। উনিশ বছর বয়সেই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন নাদাল। এ রেকর্ডটাই বা তিনি স্পর্শ না করে থাকেন কি করে?
বলা হচ্ছিল কার্লোস আলকারাসের কথা। নরওয়েজিয়ান ক্যাসপার রুদকে ৬–৪, ২–৬, ৭–৬ (৭–১), ৬–৩ গেমে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতেছেন আলকারাস। উনিশ বছর বয়সেই! শুধু শিরোপাই নয়, আলকারাস শুনেছেন আরও একটি সুসংবাদ। সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন তিনি। তাতে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের ৪৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম ‘টিনএজ’ খেলোয়াড় হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার কীর্তি গড়া হয়ে গেল তাঁর।
নাদাল তো বটেই, ইউএস ওপেনের ফাইনালে রুদকে হারিয়ে পিট সাম্প্রাসকেও মনে করিয়ে দিয়েছেন আলকারাস। ১৯৯০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই ইউএস ওপেনেই আন্দ্রে আগাসিকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রাস। আলকারাস যেন সাম্প্রাসকেও মনে করিয়ে দিলেন!
উত্তরসূরির কীর্তিতে নাদালও উচ্ছ্বসিত। টুইটারে আলকারাসকে অভিনন্দন জানিয়ে ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা লিখেছেন, 'প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় ও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার জন্য আলকারাসকে অভিনন্দন, অসাধারণ মৌসুমের দুর্দান্ত পরিসমাপ্তি হলো। আমি নিশ্চিত, আরও শিরোপা জিতবে তুমি!'
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা