দেশে লুটতন্ত্র জেঁকে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসীরা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করতে পারিনি। লুটপাটতন্ত্র এখন জেঁকে বসেছে। দেশের সম্পদ অনবরত পাচার হচ্ছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স আরও বলেন, আমরা যখন যুদ্ধ করি, তখন দেখেছি পাকিস্তান দেশ একটা, কিন্তু অর্থনীতি ছিল দুইটা। জনগণ যে সম্পদ উৎপাদন করত, তা বিদেশে পাচার হত, বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তানে। এখন এক দেশ হলেও দুই অর্থনীতি চলছে। আগে পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার হত, এখন বিদেশে বিভুঁইয়ে সম্পদ পাচার হচ্ছে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখনই আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। আমাদের যে অর্থ পাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার শপথ নিতে হবে। আমাদের কমিউনিস্ট পার্টি এই শপথ নিয়েই স্বাধীনতা দিবস উদযাপর করছে।
এ সময় সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। এ জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। দ্বি-দলীয় রাজনীতির ধারার বিপরীতে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, পালাক্রমে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষের মুক্তি দিতে পারেনি। আজ সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম করতে হবে।
সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন রেজা, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, আহসান হাবিব লাবলু, নিমাই গাঙ্গুলী, কাজী রুহুল আমীন, লাকী আক্তার, আবিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন খান, ইদ্রিস আলীসহ অন্য নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা