সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় স্ত্রী হত্যা মামলায় মোস্তফা বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা বিশ্বাস উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আমজেদ বিশ্বাসের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, বিয়ের সময় মেয়ের জামাই মোস্তফাকে সাধ্যমতো যৌতুক দেন আব্দুস সবুর। কিন্তু এতে খুশি হননি মোস্তফা। পরে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও তিন ভরি সোনা দাবি করে স্ত্রী শিউলীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মোস্তফা। বেশ কিছুদিন শিউলি তার বাবার বাড়ি থাকায় যৌতুকের টাকাসহ তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুরে যান তিনি। যৌতুকের টাকা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে শিউলীকে হত্যা করে মোস্তফা।
এ ঘটনার পরদিন মোস্তফা ও তার বাবা আমজেদ বিশ্বাসকে আসামি করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আব্দুস সবুর। ওই বছরে ৪ সেপ্টেম্বর তালা থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লুৎফর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য ও পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচারক এম জি আযম মোস্তফা বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোস্তফার বাবা আমজেদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. বশির আহমেদ বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা