আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:০৪
উদ্বোধনের আগেই সিলেট বাস টার্মিনালে ‘ফাটল’
সিলেট ব্যুরো

উদ্বোধনের আগেই সিলেট বাস টার্মিনালে ‘ফাটল’

নির্মাণাধীন সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। ছবি: দৈনিক বাংলা

উদ্বোধনের আগেই সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে কোনো নির্মাণত্রুটি রয়েছে কি না তা অনুসন্ধানে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট সার্ভিস প্রজেক্ট- এমজিএসপি প্রকল্পে সিলেট সিটি করপোরেশন দেশের সর্বাধুনিক সুবিধাসংবলিত ও নান্দনিক নির্মাণশৈলীতে ‘কদমতলী বাস টার্মিনাল’ নির্মাণ করে। ৮ একর ভূমিতে এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। গত ১৫ জানুয়ারি টার্মিনালটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। এরপর টার্মিনালের ছাদের একটি অংশে ফাটল দেখা যায়।

শনিবার বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে এ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, আধুনিক বাস টার্মিনালের একটি অংশে ত্রুটি ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এ নিয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায় সে জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

সিসিক মেয়র আরও বলেন, এখনো সিসিকের কাছে এ প্রকল্পটি নির্মাণ সংস্থা হস্তান্তর করেনি। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমাণ বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ-সুবিধা ঠিক আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান শুরু হয়। এরই মধ্যে স্থাপনাটির একটি অংশে কিছু ত্রুটি দেখা যায়।

সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর চৌধুরী তদন্ত কমিটির সমন্বয়ক। কমিটিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এলজিইডি সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রয়েছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ‘কদমতলী বাস টার্মিনালে’ বিমানবন্দরের আদলে বহির্গমন, আগমনের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গোলাকার পাঁচতলা একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে টার্মিনাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্যালয়, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, পুলিশ কক্ষ এবং পর্যটন কার্যালয় স্থাপন করা হবে। যাত্রী ওঠানামার জন্য পৃথক টার্মিনাল ভবন, সুপরিসর পার্কিং ব্যবস্থা, রেস্তোরাঁ ও ফুড কোর্ট, পর্যাপ্ত যাত্রী বিশ্রামাগারসহ সব ধরনের আধুনিক সেবা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি ও আসাম টাইপ বাংলোর স্থাপত্যশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কদমতলী বাস টার্মিনাল প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন করা হয়। এই টার্মিনালের নকশা করেন স্থপতি সুব্রত দাশ, স্থপতি রবিন দে ও স্থপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।