রংপুরের কারমাইকেল কলেজ-সংলগ্ন লালবাগ মোড়ে বসে শৌখিন পায়রার হাট। খাঁচায় ভরা নানা জাতের কবুতরসহ আসেন বিক্রেতারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দ ও দরদাম ঠিক হলে খাঁচা ভরে কবুতর নিয়ে যান ক্রেতারা।
প্রতি রোববার ও বুধবার এ হাট বসে। ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি হাটে ১৫০ থেকে ২০০ জোড়া পর্যন্ত কবুতর বিক্রি হয়। দেশি কবুতরের পাশাপাশি বিদেশি ঝরনা, সেটিং, বুলু সেটিং, গিরিবাজ, হলুদ মুক্কি, লাক্কা, রাহুল, নান, লোটন ও সিরাজি জাতের কবুতর বেচাকেনা করেন বিক্রেতারা। প্রকারভেদে জোড়া ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
কবুতর বিক্রি করতে আসা পীরগাছার দেউতি এলাকার নুরু মিয়া বলেন, বাণিজ্যিকভাবে নিজ বাসায় তিনি কবুতর পালন করছেন। বাড়ির কবুতরের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা নানা জাতের কবুতর প্রত্যেক হাটের দিন বিক্রি করতে নিয়ে আসেন তিনি। প্রতি হাটবার তার ২০ থেকে ২৫ জোড়া কবুতর বিক্রি হয়। বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন ও বিক্রি করে তার সংসার চলে যায়।
কবুতর ভালোবাসেন কারমাইকেল কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমি আক্তার। তিনি বলেন, শখের বসে তিনি বিভিন্ন জাতের কবুতর বাড়িতে পোষেন। কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী হওয়ার সুবাধে প্রত্যেক হাটবারে তিনি দেখেন রং-বেরংয়ের শখের কবুতর বেচাকেনার চিত্র।
সুমি আক্তার বলেন, তিনি এসেছেন এক জোড়া গিরিবাজ জাতের কবুতর কিনতে। গিরিবাজ কবুতর ছেড়ে দিলে আকাশে উড়াল দেয়, মাথার ওপর চক্কর দেয় এবং ডিগবাজি খায়। এ দৃশ্য দেখে তার প্রাণ ভরে যায়।
রংপুর সদরের পাগলাপীর থেকে আসা সোবহান নামের এক বিক্রেতা বলেন, দেশি ১০ জোড়া কবুতর বিক্রির জন্য হাটে এনেছেন। এ কবুতর বিক্রির টাকায় অন্য জাতের কবুতর পেলে তা কিনে বাড়িতে ফিরবেন।
হাটের ইজারাদার স্বপন মিয়া বলেন, প্রতি হাটে লক্ষাধিক টাকার কবুতর বেচাকেনা হয়। তিনি ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০ টাকা করে মোট ২০ টাকা ইজারা আদায় করেন। এ হাটে যারা কবুতর কিনতে আসেন তারা সবাই শৌখিন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা