গ্রেপ্তার হতে পারেন, এমন গুঞ্জন ছিল আগেই। সে গুঞ্জনই সত্য হলো। আদালতে হাজির হতেই গ্রেপ্তার হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিবিসি, সিএনএনসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে হাজির হতে মঙ্গলবারই নিউইয়র্কে পৌঁছান। এরপর ট্রাম্প টাওয়ারে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাজির হন আদালতে। এর মিনিট দশেকের মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর ট্রাম্পকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখন তাকে নেয়া হচ্ছে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে। সেখান থেকেই তাকে নেয়া হবে একই ভবনে অবস্থিত আদালতে। সেখানেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩০ ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের নির্বচানের আগে প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্র (পর্নো) অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে তাকে গোপনে অর্থ দেয়ার অভিযোগ। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড জুরি তাকে অভিযুক্তও করেছেন। অবশ্য ট্রাম্প এসব অভিযোগ স্বীকার করেননি।
এদিকে ট্রাম্পকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড জুরি অভিযুক্ত করার খবরটি প্রকাশের পর তার ক্যাম্পেইন ফান্ডে ৪০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশই এসেছে ফার্স্ট টাইম ডোনারদের কাছ থেকে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছে, এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পই রিপাবলিকানদের দলীয় মনোনয়নে এগিয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ফ্লোরিডা রাজ্যের গভর্নর ডি স্যানটিস ও জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা উল্লেখ করে ডেমোক্রেটদের সমালোচনা করেছেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা