পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেন একের পর এক সাফল্য অর্জনের পর এবার পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলকে রুশ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে অগ্রসর হতে চাইছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গত কয়েক দিনে একাধিক ভূখণ্ড রুশ দখল থেকে মুক্ত করেছে এবং রাশিয়ার সেনাদের সেসব এলাকা ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার সেনারা খারকিভ এলাকা পুনর্দখলের পর আট হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি জায়গা সুরক্ষিত করার বন্দোবস্ত করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করে দেখিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে এই অগ্রগতি সাফল্যের মুখ দেখেছে। তবে এই পাল্টা আক্রমণ একটি দীর্ঘ পথ হতে পারে।
ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দনবাসের যেসব শহর যুদ্ধের শুরুতেই মস্কোর সেনাদের দখলে চলে যায়, সেগুলো এখন ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রথম দিকে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহর দখলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তারপর তারা দনবাসে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার প্রতি মনোযোগী হয়। সেখানকার কিছু অংশ আগে থেকেই রুশপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বঘোষিত লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের সামরিক অধিনায়ক আন্দ্রে মারোশকো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, লড়াই তাদের ভূখণ্ডের সীমানার কাছে পৌঁছে গেছে।
লুহানস্ক অঞ্চলের নির্বাসিত ইউক্রেনীয় নেতা সার্হি হায়দায় বলেন, লিমানের উপকণ্ঠে ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল বুধবার ইজিউম শহর পরিদর্শনে যান। তার সেনারা সম্প্রতি শহরটির পুনরুদ্ধার করেছে। জেলেনস্কি সেখানে ওই সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন।
ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার উচ্চাভিলাষ এখনো রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।
ইউক্রেন বলেছে, তাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনের বিভিন্ন কেন্দ্রে আরও রুশ হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স ও ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর গতকাল নয়াদিল্লিতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাথরিন কোলোনার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপ ও কূটনীতিতে ফিরে আসা উচিত।
ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কঠোর নিন্দা করলেও ভারত এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে মস্কোর ওই অভিযানের কোনো সমালোচনা করেনি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা