আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:৪০
আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ৪ জন
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ৪ জন

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান

পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাই প্রবাসী আলোচিত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহতের বোনসহ চার জন।

রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে নিহতের বোন রওশন আক্তার, দুলাভাই মোশারফ হোসেন খান, মামুন ইমরানকে যে বাসায় খুন করা হয় ওই বাসার কেয়ারটেকার মিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটিগার্ড মানিক সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে ২মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। মামলাটিতে ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

মামলার আসামিরা হলেন— মো. রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মো. মিজান শেখ, আতিক হাছান ওরফে দিলু শেখ, সুরাইয়া ওরফে কেয়া, মো. সারোয়ার হোসেন ও মো. রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম ও সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক। বাকি ৬ আসামি কারাগারে।

এই মামলার দুই আসামি মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা ওরফে আফরিন ও মোছা. ফারিয়া বিনতে মিম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান।

২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভুক্তভোগী মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলুখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। রহমত উল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন। রহমত উল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই বছরের ১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের কলাকুপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।