জাতিসংঘসহ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা ঠেকাতে সাম্প্রতিকালে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার তৃতীয়বারের মতো বৈঠকে বসছেন নেতিবাচক প্রচারণা প্রতিরোধ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক বাংলাকে বলেন, এ বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি স্পর্শকাতর ওই ইস্যুতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এর আগে বিদেশে থেকে সরকারবিরোধী তৎপরতা পরিচালনাকারী, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের কাছে আবেদন করতে মিশনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিদেশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে দক্ষ কলামিস্ট নিয়োগ করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিশেষ নির্দেশনা দেয়।
কমিটির একাধিক বৈঠকে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক প্রচারণার বিষয় আলোচনা হয় এবং এগুলো বন্ধে মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে এসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে আলাদা একটি সেল গঠন করা হয়। সেই সমন্বয় সেলের তৃতীয় বৈঠক সোমবার।
জানা যায়, বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার করছে তাদের একটি তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এই তালিকা বাংলাদেশ মিশনগুলোকে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চিহ্নিতদের সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য প্রযোজ্য আইন-কানুন চিহ্নিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্যক্রম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পোস্টগুলো নিয়মিত নজরদারি করতে মিশন প্রধানদের বলা হয়।
সূত্র জানায়, নেতিবাচক প্রচারণা ঠেকাতে একটি নতুন অধিশাখা খোলার বিষয়ও বিবেবনা করছে সরকার। এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে সেটিকে পুঁজি করে সরকার-বিরোধীরা দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা