মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাবাশপুর লাবণ্য প্রভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। রাজু সদর উপজেলার ভাড়ারিয়ার খাবাশপুর এলাকার শহদিুল ইসলামের ছেলে। সে খাবাশপুর এলাকার একটি কিশোর গ্যাংয়ের লিডার।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানী ঢাকার মহানগর বাড্ডা এলাকার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজুকে। বিকেলে র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ইভ টিজিং ও উশৃঙ্খল আচরণসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ২০২২ সালে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে রাজুকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরেই রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রধান শিক্ষককের ওপর হামলা করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রধান শিক্ষকের মাথার হাড় ফেটে ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং তার মাথায় ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে।
কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজু আহম্মেদের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার সময় ব্যবহৃত একটি ধারালো দা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সদর থানা পুলিশের কাছে রাজুকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় রাজু আহম্মেদসহ চারজনকে আসামি করে তার ভাই সাইফুল ইসলাম সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি রাজুকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা