সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেবকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। এতে আরও আসামি করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মহিউদ্দিন মুরাদের (ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ) আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য শওকত আলী। তবে আদালত মামলা গ্রহণ করলেও কোনো প্রকার আদেশ দেননি। নিয়মিত জেলা জজ যোগদান সাপেক্ষে আগামী ২৭ এপ্রিল এ মামলার আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
শাল্লা ইউএনও ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম, হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের বাসিন্দা শান্ত কুমার দাশ, দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ ও আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চলতি বছর ভান্ডাবিল হাওরের উপপ্রকল্পের আওতায় নতুন বৈশাখালী পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন বন্ধ ও মেরামতের জন্য ২৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) তৈরি করা হয়। সেখানে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দ দেয় পাউবো। কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) নীতিমালা ২০১৭-এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমি যার, সেই পাবে পিআইসি। সেই নিয়ম না মেনে নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ ও আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে পিআইসির সভাপতি, সদস্যসচিব ও সদস্য করা হয়। তাদের পিআইসি দিতে ইউএনও ও পাউবোর শাখা কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদী হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য শওকত আলী বলেন, ইউএনও ও পাউবো কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা নিয়ে শান্ত, বকুল ও বিপ্লবকে পিআইসি দিয়েছেন। সরকারের টাকা নিয়ে এভাবে নয়ছয় করার এখতিয়ার কারও নেই।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, নিয়মিত জেলা জজ যোগদান সাপেক্ষে আগামী ২৭ এপ্রিল আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা