ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে সরকার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তারা তাদের মতো করে এখনো রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারে মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে নাগরিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন কী করছে? যে কেউ বাইরে থেকে যদি কোনো লেখা লেখে বা স্ট্যাটাস দেয়… ডয়েচে ভেলের একটা ভিডিও গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে র্যাবের ঘটনা নিয়ে। সেই ভিডিওতে একজন সাক্ষ্য দিয়েছিল নাফিজ, তাকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একটাই লক্ষ্য নাগরিকদের কথা বলতে দেয়া হবে না, নাগরিকদের তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে দেয়া হবে না।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ, রাষ্ট্রের যে আত্মা সেই আত্মার মূল যে চরিত্র তাকেই তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা যেটা তাদের অতীতের লক্ষ্য ছিল সেই বাকশাল তৈরি করার মধ্য দিয়ে যেটা ব্যর্থ হয় এখন নতুন আঙ্গিকে নতুন ছদ্মবেশ ধারণ করে… একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করছে।
তিনি বলেন, এই সরকার কোনো নির্বাচিত সরকার নয়, দখলদারি একটা সরকার। তারা এসব আইন করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে চায়। সামনে নির্বাচন- এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন কেউই রুখে দাঁড়াতে না পারে, কেউ যেন তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে এবং নির্বাচনে তাদের কেউ যেন বাধা দিতে না পারে, সে জন্য এই আইনগুলো করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে নাগরিকদের প্রতিহত করা হচ্ছে, তারা তাদের কথা বলতে দেবে না, তারা তাদের অভিযোগগুলো বলবে না, তারা লিখবে না, সাংবাদিকরা যেন না লিখে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঠিক একই আইনগুলো দিয়ে এই নির্বাচনে তারা প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণরূপে দূরে রেখে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যেতে চায়।
হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী অপুকে গত পরশু সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নেয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অবিলম্বে তার সন্ধান ও মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা