ফুটবলে ইদানিং হৃদরোগ-সংক্রান্ত জটিলতা কি বাড়ছে? সের্হিও আগুয়েরো বুকে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর ফুটবলই যে ছাড়তে হলো, সে দুঃস্মৃতি তো এখনো তাজা ফুটবলপ্রেমীদের মনে। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন ২০২০ ইউরোর সময়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন।
তেমন দুঃস্মৃতিই কাল ফিরে ফিরে আসছিল ইউরোপা লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউভেন্তুস-স্পোর্তিং সিপির প্রথম লেগের ম্যাচে। বিরতির আগে হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইউভেন্তুস গোলকিপার ভয়চেখ সেজনিকে। এ সময় তার চোখে জল ছিল।
তবে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইউভেন্তুস জানিয়েছে, শেজনি ঠিকঠাকই আছেন। পোলিশ গোলকিপার নিজেও ম্যাচের পর বলেছেন, তার অ্যাঙজাইটি অ্যাটাক হয়েছিল।
নিজেদের মাঠে ম্যাচটা ১-০ গোলে জিতেছে ইউভেন্তুস।
৪০ মিনিটের সময় হঠাৎই তার বদলি নামাতে ইউভেন্তুস ডাগআউটের দিকে ইঙ্গিত করেন শেজনি। তখন বারবার বুকে হাত দিচ্ছিলেন শেজনি। দেখে মনে হচ্ছিল, তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। শেজনিকে উঠিয়ে তখন মাত্তেয়া পেরিনকে নামায় ইউভেন্তুস। কিন্তু যখন মাঠ ছাড়েন শেজনি, চোখের জল আর বাঁধ মানছিল না তার। স্পোর্তিংও তখন টুইট করে, ‘শক্ত থাকো, শেজনি।’
ইউভেন্তুস সমর্থক তো বটেই, ফুটবলপ্রেমীদের জন্যই স্বস্তির খবর, ম্যাচ শেষ হতে হতেই এসেছে শেজনির সুস্থ হয়ে ওঠার খবর। ম্যাচ শেষে দুঃস্বপ্নের মতো ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন শেজনি নিজেই, ‘কিছুটা অ্যাঙজাইটি (অ্যাটাক) হচ্ছিল। তবে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছি, সব ঠিকঠাকই আছে। ওই সময়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এমনটা আমার আগে কখনো হয়নি। তবে এখন আগের চেয়ে বেশ ভালো আছি।’
৭৩ মিনিটে ফেদেরিকো গাত্তির গোলে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতে যায় ইউভেন্তুস। শেজনির বদলি নামা পেরিন দ্বিতীয়ার্ধের শেষে যোগ করা সময়ে দারুণ দুটি সেইভ করেন।
ইউরোপা লিগে কাল ইতালির অন্য দল রোমা হেরেছে। গত মৌসুমে ইউরোপা কনফারেন্স লিগ জেতার পথে ফাইনালে যাদের হারিয়েছিল, সেই ফেইনুর্ডের মাঠে জোসে মরিনিওর রোমার হার ১-০ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালের অন্য দুই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে সেভিয়ার সঙে আর লেভারকুসেন-সাঁ জিলোয়া ম্যাচ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা