হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পরে এলাকার লোকজন মিলে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়ন বড়ধুলিয়া গ্রামের পুকুরে গোসল করার সময় এক শিশুকে পুকুরে নেমে কামড়ায় কুকুরটি। শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এলে কুকুরটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর সোমবার সকাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রওশনআরা বেগম (৫০), বায়জিদ মিয়া (২৭), বিল্লাল মিয়া (৪৮), সেলিম মিয়া (৩৬), নীল বেগম (১৩), জীবন মিয়া ( ১০), শিল্পী বেগম (৩২), পারভীন ( ৩০), রীণা বেগম (৪৫), মোছা. মাওয়াসহ (২) বড়ধুলিয়া, বেজুরা, সন্তোষপুর, জগদীশপুর তেমনিয়া ও চারাভাঙ্গা গ্রামের অন্তত ৪০ জনকে কামড়েছে কুকুরটি।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন কয়েকটি গ্রামের মানুষ পাগলা কুকুর আতঙ্কে হাতে লাটিসোঁটা নিয়ে চলাফেরা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে কয়েকজন তরুণ কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে জানিয়েছেন জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এইচ এম ইশতাক মামুন বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতরা নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। আক্রান্ত অধিকাংশ লোক স্থানীয় বাজারে গিয়ে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিয়েছেন। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। দরিদ্র আক্রান্তদের প্রয়োজনে ভ্যাকসিন কেনার জন্য রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে সহযোগিতা করা হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা