নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধিকাংশ সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিভাবে নেয়া হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘দ্বিধা-বিভক্তি কিন্তু মন্দ কিছু ইঙ্গিত করে না, বরং কমিশনাররা যে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারেন, তা প্রতিফলিত হয়।’
মঙ্গলবার দৈনিক বাংলাকে এসব কথা বলেন আহসান হাবিব খান।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় ১৯ দফা কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। রোডম্যাপ অনুযায়ী অনধিক ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার আরপিও ও নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন বিষয়ে কথা বলা ছিল। কিন্তু অর্থ সংকটে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন।
ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘লণ্ডভণ্ড তো একেবারেই হয়নি বরং আমরা রোডম্যাপ থেকে বেশ এগিয়েই আছি। রেডম্যাপ হচ্ছে ভবিষ্যত প্রক্ষেপণ, তাতে সময়ের প্রয়োজনে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কিছু কিছু পরিবর্তন আসতেই পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছি। কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। দ্বিধা-বিভক্ত কিন্তু মন্দ কিছু ইঙ্গিত করে না, বরং কমিশনাররা যে স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারেন তা প্রতিফলিত হয়।’
এটাই করপোরেট কালচার, গণতন্ত্রের ডিসেন্সী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুচিন্তিত মতামত অভিন্ন হতে পারে বা ভিন্নও হতে পারে। ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার বিষয়ে গত ৬ এপ্রিল সিইসি মহোদয় বিস্তারিত কথা বলেছেন। এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।’
ভয়ভীতিহীন, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ তৎপর জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নিজেদের মেয়াদের প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীতে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সবসময় আশ্বস্ত করতে চাই। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করব ইনশাল্লাহ। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি। আশা করি, ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা