ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরমধ্যে দেশের প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে বেতনসহ বোনাস হয়ে গেছে। অনেকে ছুটি নিয়ে বাড়িও গেছেন। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে যুক্ত দুই হাজার ৩৩১টি কারখানার মধ্যে ৭৫২টি বা ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের ঈদের বোনাস দেয়নি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ (আইপি) বা শিল্প পুলিশ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের তথ্য মতে, ৭৫২টি বোনাস না দেয়া কারখানার সঙ্গে মার্চ মাসের বেতন দেয়নি এমন কারখানা রয়েছে ১০১টি। আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সাত শিল্পাঞ্চলের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের কারখানার এমন চিত্র উঠে এসেছে শিল্প পুলিশের দেয়া তথ্যে।
তথ্য অনুযায়ী, দেশের সাতটি শিল্পাঞ্চলে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৬১৬ শিল্পকারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৩ হাজার ৪৫০টি এখন পর্যন্ত ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। আর ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বা ৪৯৭টি কারখানা শ্রমিকদের গত মার্চ মাসের বেতন দেয়নি।
শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ১ হাজার ২৮৫টি শিল্পকারখানা ঈদের ছুটি দিয়েছে। তাতে এখন পর্যন্ত ছুটি দেয়া কারখানার সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৫৬৬টিতে দাঁড়িয়েছে। তবে ঈদের ছুটিতেও ৭৯ কারখানায় উৎপাদন চলবে বলে তথ্য দিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শিল্প পুলিশের তদারকির মধ্যে থাকা ৯ হাজার ৬১৬ শিল্পকারখানার মধ্যে দুই হাজার ৩৩১টি পোশাক কারখানা। আর বস্ত্র কারখানার সংখ্যা ৩৫৮।
সাত শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য এক হাজার ৬৩১ কারখানার মধ্যে ৭২টি বুধবার পর্যন্ত গত মাসের বেতন দেয়নি। আর ৬০৫ কারখানা এখনো শ্রমিকদের ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। অন্যদিকে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য ৭০০ কারখানার মধ্যে ১৪৭টি এখনো ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। আর শ্রমিকের বেতন দেয়নি ২৯ কারখানা।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিজিএমইএর সদস্য সচল কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ১৫১। তার মধ্যে মাত্র ২৫টি কারখানা পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেয়নি। আর ৯০ শতাংশ বা ১ হাজার ৯৩৬টি কারখানা ইতিমধ্যে ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৭৬৮ কারখানা চলতি মাসের আংশিক বেতন দেবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা