আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:৩৫
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত, ‘বালা মসিবত’ থেকে মুক্তি কামনা

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত, ‘বালা মসিবত’ থেকে মুক্তি কামনা

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় উদযাপন করছে খুশির ঈদ। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের এ নামাজে অংশ নিয়েছেন সকল শ্রেণি পেশার লাখো মুসলমান।

এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় এবং বালা মসিবত থেকে রক্ষা পেতে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়।

মহামারী করোনার কারণে গত তিন বছর বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এবার তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষ ঈদের নামাজটি আদায় করেন জাতীয় ঈদগাহে।

রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

এবার ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবার এক সঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেছিল।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বৃষ্টি হলেও শনিবার সকালে বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। সেইসঙ্গে ছিল না তেমন গরমের দাপটও। ফলে স্বস্তি নিয়ে ঈদের নামাজে অংশ নেয় লাখো মুসল্লি।

এদিকে সকাল ৭টায় এ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামায়াত। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষবারের মতো দেশবাসীর উদ্দেশে ঈদের শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন মো. আবদুল হামিদ। টানা দুই মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষে ঈদের ঠিক পরদিন অবসরে যাচ্ছেন তিনি।

ঈদের আনন্দ যেন সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারে, সেজন্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সমাজের সচ্ছল ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এ ছাড়া কুসংস্কার পরিহান করে ইসলাম ধর্মের শান্তির বার্তা প্রতিষ্ঠার ওপর ঈদের শুভেচ্ছা বাণীতে জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

ঈদ উপলক্ষে দেয়া শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হয়রানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামর চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’