আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:৫০
চাপ নেই দৌলতদিয়ায়, নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

চাপ নেই দৌলতদিয়ায়, নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

দৌলতদিয়া ঘাটে নেই যানবাহন ও যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ছবি: দৈনিক বাংলা

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকে। তবে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ নেই। সড়ক ও ফেরিঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে কিছুক্ষণ পরপর যাত্রী আসছে। প্রতিটি লঞ্চে ১২০-১৫০ জন যাত্রী নিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরপর ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহনের সিরিয়াল নেই। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাসসহ যেসব যানবাহন ঘাটে আসছে, সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠছে।

যাত্রীরা বলছেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় না থাকায় স্বস্তির কথাও জানান তারা।

সুমন খান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দে কাটালাম। খুব ভালো সময় ছিল। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তার পরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না।’

নার্গিস পারভীন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের দুদিন আগে বাড়ি ফেরার পথে ঘাটে কোনো ঝামেলা হয়নি। যদিও ভাড়া একটু বেশি লেগেছে। রাস্তাও ফাঁকা ছিল। সব মিলে ভালোভাবে আসতে পেরেছি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ নেই। যেসব যানবাহন নদী পার হওয়ার জন্য আসছে, সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাকি ফেরিগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। যানবাহনের ও যাত্রীর চাপ বাড়লে সেগুলো চালাচল করবে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় ২ হাজার ৬০৫টি যানবাহন নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে গেছে। যানবাহনগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৩৯৩, ট্রাক ২২২, ছোট গাড়ি ৯৫৪ ও মোটরসাইকেল ১ হাজার ৩৬টি।