রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে সোনা মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খানসামারহাটের ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত সোনা মিয়া কাউনিয়ার হারাগাছের নজিরদহ নয়াটারী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আহতদের উদ্ধার করে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হারাগাছ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে হারাগাছে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে রাতে আবারও দু-গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই সোনা মিয়া নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সুলতানা রাজিয়া। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা