ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে বিএনপি নির্বাচনে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। তারা আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন করেছে। ওরা কোন মুখে নির্বাচন করবে, কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইবে?
জাপানের রাজধানী টোকিওতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সে দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশে গণতন্ত্র নেই- বিরোধীদের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চর্চা করে। আর আওয়ামী লীগের সময় সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বলছে গণতন্ত্র নেই, মিলিটারি ডিক্টেটর থাকলে গণতন্ত্র থাকে? ভোট চুরি করলে গণতন্ত্র থাকে? হ্যাঁ-না ভোট গণতন্ত্র? কারচুপি করা সেটা গণতন্ত্র? আর আওয়ামী লীগ! আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, আইডি কার্ড, ভোটের একটা সুস্থ ব্যবস্থা করেছি।’
‘আওয়ামী লীগের সরকার আমলে যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে, যতগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে আপনারা জানেন নিজেদের মধ্যে ওই ওয়ার্ড বা কমিশনার তাদের মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে, কিন্তু প্রত্যেকটা নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে বলেই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা রাজকীয় সম্মান দিয়ে বিদায় দিতে পেরেছি। নতুন রাষ্ট্রপতিকেও আমরা নির্বাচন করিয়েছি। তারা একই জায়গায় বসে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। অথচ এর আগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হস্তান্তর, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বা নতুন রাষ্ট্রপতি এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা কোনোদিন পাননি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এই ইতিহাসটা আমরা তৈরি করতে পারলাম। এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা, এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এটাকে গণতন্ত্র বলে। পোঁটলা দিয়ে বের করে দেয়া এটা কিন্তু গণতন্ত্র নয়।’
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে বারবার, কীভাবে? গণতন্ত্র তো ছিলই না। ভোট, ওই হ্যাঁ-না বাক্সে ভোট, না বাক্স খুঁজে পাওয়া না, সব হ্যাঁ বাক্স- সেটা জিয়াউর রহমানের আবিষ্কার।’
দেশে গণতন্ত্র নেই- এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘কেন? বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বলে? ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল, যেখানে বাকি সিটগুলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা