গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন একই পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।
তিনি বলেন, ‘আমার দল, সাধারণ মানুষ ও শান্তিকামী মানুষ যেহেতু আমার সঙ্গে রয়েছে, সেজন্য অবশ্যই স্বস্তি আমি পাচ্ছি। নির্বাচনে আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমি সবাইকে নিয়ে স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আমি এই মেসেজটা দিতে চাই যে কেউ আমাদের শত্রু নয়।’
রোববার সকালে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। নথি যাচাই-বাছাইয়ের পর অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। অবশ্য বৈধ ঘোষিত হয় আজমত উল্লার মনোনয়নপত্র।
জাহাঙ্গীরের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি (জাহাঙ্গীর) যে প্রতিষ্ঠানের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি শাখা। তবে তিনি অন্য যে সমস্ত কাগজপত্র দাখিল করেছেন, তার সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে। তার আপিল করার সুযোগ ও সময় রয়েছে। তিনি আপিল করলে পরবর্তীতে আপিলের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গাজীপুর সিটির বিগত নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়া জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধু ও দলকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে ২০২১ সালের নভেম্বরে বহিষ্কৃত হন। পরে মেয়র পদও হারান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এ বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলার শর্তে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ।
এর মধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আওয়ামী লীগ মেয়র পদে মনোনয়ন দেয় অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে দলের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন। পাশাপাশি মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র নেন তিনি।
রোববার জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তার মায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা