ঠাকুরগাঁওয়ের সেনুয়া ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক বাশারুল ইসলাম সোহেল এবং যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল আলী, ওমর আলী ও নাসিরুল ইসলামের সই করা সংগঠনের প্যাডের পাতায় আগামী তিন মাসের জন্য ২৭ এপ্রিল একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে দ্বীপ নারায়ণকে আহ্বায়ক, তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাঁচজনকে সদস্য করা হয়।
এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, আব্দুর রউফ ও সদস্য আনোয়ার হোসেনের সই করা সংগঠনের প্যাডের পাতায় তিন বছরের জন্য হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও কৃষ্ণ শর্মাকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক বাশারুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির অধিকার আছে কমিটি দেয়ার। সবার সম্মতিক্রমেই কমিটি দেয়া হয়েছে। আমার দেয়া কমিটিকে বিতর্কিত করতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা পরে কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি সাংগঠনিকভাবে জবাব দেব।’
রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে আমি জানি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে বুঝতে পারি, সেনুয়ায় কমিটি দেয়া হয়েছে। ঘরে বসে মনগড়া কমিটি দেয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল তৈরি হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে আসা ত্যাগী ব্যক্তিদের কোনো পদেই রাখা হয়নি। আর আহ্বায়কের সঙ্গে তৃণমূল রাজনীতির কোনো সংযোগ নেই। তাই আমরা ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা শাহ মো. অ্যাপোলো বলেন, ‘রুহিয়া থানার আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা কমিটির বিষয়ে আলোচনা করছি। কারণ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। এভাবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি করে কমিটির অনুমোদন দেয়ায় দলের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা