মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন হত্যা মামলায় আসামিকে আট বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের আট বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আব্দুল আওয়াল জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর রিফিউজি পাড়ার জাহার কাশেম ওরফে খুশি মণ্ডলের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল হক জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার পর আসামিকে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ব্রিজ বাজার থেকে ফেরার পথে আব্দুল আওয়ালসহ কয়েকজন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সুমনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সুমনের বাবা শমসের আলী গাংনী থানায় দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। সুমন কয়েকদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মুক্তার হোসেন মামলার তদন্ত শেষে আব্দুল আওয়ালকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আসামি আওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে আদালত মঙ্গলবার তাকে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শফিকুল আলম।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা