সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কী কী অনিয়মের ফলে শাস্তি পেয়েছেন সোহাগ, সেসব খতিয়ে দেখা এবং এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সুপারিশ করার কথা সে কমিটির। তবে কার্যক্রম শুরুর আগেই বাফুফের দুই সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক এবং মহিউদ্দিন মহি কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান।
কেন দুই সহ-সভাপতি সরে দাঁড়ালেন, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে রাজি হয়নি বাফুফে। ২ মে বোর্ড সভার পর এ ব্যাপারে জানানো হবে বলে তখন বাফুফের তরফে ইঙ্গিত দেয়া হয়। অবশেষে গতকাল সে বিষয়টি খোলাসা করেছেন দুই সহ-সভাপতির একজন মহিউদ্দিন মহি, ‘ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সরে যেতে হয়েছে। নির্বাচনের মৌসুম চলছে, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে।’
কমিটি থেকে দুই সদস্য কমলেও নতুন কাউকে যুক্ত করছে না বাফুফে। বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘যেদিন আহ্বায়ক কাজী নাবিল ও তার কমিটি কার্যক্রম শুরু করবেন, সেখান থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। কমিটিতে নতুন কোনো নাম যুক্ত হচ্ছে না, আমাদের যারা আছেন, তারাই থাকবেন।’
এদিকে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নারীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ উইমেন্স সুপার লিগের ট্রফি ও ম্যাচ বল উন্মোচিত হয়েছে। এই টুর্নামেন্টের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আমি বিশ্বাস করি, এটা (নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন) খুব কঠিন কাজ। তার পরও আমি আশা করি এটা সফল হবে। এখন পর্যন্ত তারা যেভাবে সবকিছু উপস্থাপন করেছে, এটা খুব ভালো দেখাচ্ছে।’
এ ছাড়া ফিফার ফরোয়ার্ড ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করে কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং বাফুফে ভবনসংলগ্ন মাঠে নতুন টার্ফ এবং কক্সবাজারে ফিফার অর্থায়নে টেকনিক্যাল সেন্টার স্থাপনে অগ্রগতির বিষয়েও বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে। এ দুই ইস্যুতে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘কক্সবাজারে জমির জন্য কাজ করছিলাম এবং জমিও পেয়েছি। কমলাপুর ও ফেডারেশনের টার্ফের অবস্থা ভালো নয়। এখানে দুটো টার্ফ বসানোর সম্ভাবনা আছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা