আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:৫৫
‘রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার অজুহাতের সুযোগ মিয়ানমারকে দিতে চাই না’

‘রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার অজুহাতের সুযোগ মিয়ানমারকে দিতে চাই না’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ মঙ্গলবার সকালে এই ব্রিফ করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা কূটনীতিকদের সাহায্য চেয়েছি। যাতে মিয়ানমার এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে না পারে। আমরা কোনোভাবেই এখানে জড়িত হতে চাই না। রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার অজুহাতের সুযোগ মিয়ানমারকে দিতে চাই না।’

তবে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিল না চীনের কোনো প্রতিনিধি। এর আগের দিন আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করে ঢাকা।

খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, সীামান্তে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে প্রাণহানি ঘটছে এবং যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটি আগেই মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছিল।

খোরশেদ আলম বলেন, ‘প্রথমেই ওনাকে ডেকে বলেছিলাম যে আপনারা অ্যাকশন নেন যাতে কোনো ধরনের গোলা আমাদের পাশে না আসে। পরে আমরা আসিয়ান দেশগুলোকে একইভাবে অনুরোধ করেছি আপনারা চেষ্টা করেন মিয়ানমারের গোলা যাতে বাংলাদেশের ওপরে না আসে। আজকে যারা এসেছিলেন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতেরা, তাদেরকেও বলেছি, গত পাঁচ বছরে তারা একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছি। এমন কিছু করিনি যার জন্য মিয়ানমারের গোলা এসে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা ব্যাহত করবে। তারা গরু-বাছুর নিয়ে বাইরে যেতে পারবে না, ধানখেতে যেতে পারবে না, ঘর-বাড়িতে থাকতে পারবে না- এটা তো চলতে দেওয়া যায় না।’

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যারা এসেছিলেন তারা সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। আমরা যে চরম ধৈর্য দেখাচ্ছি, কোনো উসকানিতে পা দিচ্ছি না, এটাকে তারা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। তারা বলেছেন, নিজেদের কর্তৃপক্ষকে তারা বিষয়গুলো জানাবেন। ভবিষ্যতে যদি কিছু করণীয় থাকে বিশেষ করে যদি জাতিসংঘে কোন কিছু করণীয় থাকে তাহলে এ বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমাররের আচরণ এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে। বাংলাদেশ পশ্চিমে, দক্ষিণে মিয়ানমার আর্মি, উত্তরে আরকান আর্মি। তাদের গোলা কোনোভাবেই বাংলাদেশে আসার কথা নয়। যদি কেউ ইচ্ছে করে না করে থাকে। ইচ্ছাপূর্বক এই কনফ্লিক্টে আমাদের জড়ানোর যে প্রচেষ্টা তাতে জড়িত হব না।

খোরশেদ আলম বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যাতে করে মিয়ানমার বুঝতে পারে এরকম একটা অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করা তাদের জন্য যেমন বিপজ্জনক তেমনি বাংলাদেশও এটা ভালভাবে নেবে না।