স্ত্রীর ওপর অভিমান করে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে বাড়ি ছাড়েন আজিজুল হক। কোনো যোগাযোগই রাখেননি বাড়ির সঙ্গে, রাখেননি কোনো খোঁজখবর। তার সন্ধানও পায়নি পরিবার। আজিজুল হকের সে অভিমান শেষ পর্যন্ত কেটেছে। বাড়ি ফিরেছেন দীর্ঘ দেড় যুগ পর।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরী গ্রামের এই বাসিন্দা রোববার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরেন। তাকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন স্ত্রী ও তিন ছেলে। আনন্দ অশ্রুতে সিক্ত হয়ে পড়েন সবাই। স্বজনরা তো বটেই, এলাকাবাসীও তাকে দেখতে ভিড় জমান।
আজিজুল হকের স্ত্রী রাশেদা খাতুন বলেন, ২০০৫ সালে এক দিন কাউকে কিছু না বলেই প্যান্ট-শার্ট পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি আমার স্বামী। আমি আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতাম, তিনি যেন এক দিন আমার কাছে ফিরে আসেন।

২০০৫ সালে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিলেন আজিজুল ইসলাম। এরপর চলে যান শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বঙ্গবাজার গ্রামে। সেখানেই নানা ধরনের কাজ করে কাটিয়ে দেন দেড় যুগ।
১৮ বছর পর কেমন করে অভিমান ভাঙল আজিজুলের? তিনি নিজেই দিচ্ছে তার উত্তর, আমাদের গ্রামের জিহাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক শরীয়তপুরে কাজ করতে গিয়েছিল। ওদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। ওরাই আমাকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে।
আজিজুল হকের বড় ছেলে আব্দুল কাদের বলেন, এত দিন পর বাবাকে এভাবে ফিরে পাব, তা কখনো ভাবিনি। খেয়ে না খেয়ে আমরা তিন ভাই ও মা কত রাত কেঁদেছি, না খেয়ে থেকেছি। কত কষ্টই না করেছি। আজ বাবাকে পেয়ে সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গেছি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা