শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে বন বিভাগ। সোমবার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ ঝিনাইগাতী থানায় এ মামলা করেন। তবে মামলার তথ্য জানা গেছে মঙ্গলবার।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় ঘাগড়া মোল্লাপাড়ার এলাকার কৃষক নুহু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকেই আসামি নুহু মিয়া পলাতক।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৫-৩০টি হাতি পাহাড়ের ভেতর থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। স্থানীয় কৃষকরা মশাল জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে শব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরে খাদ্যের সন্ধানে হাতির দল উপজেলার গারো পাহাড়ের বাকাকুড়া ঢাকাই পট্টিতে নুহু মিয়ার ধানখেতে নামে। নুহু মিয়া তার ওই খেতে আগে থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে জিআই তার ফেলে রেখেছিলেন। ওই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখানেই একটি হাতি মারা যায়।
বন বিভাগের টহল দল হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে জিআই তারসহ বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ও সরঞ্জাম জব্দ করে। এ ঘটনাতেই মামলা করেছেন বলে জানান মকরুল ইসলাম আকন্দ।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, হাতির মৃত্যুর ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখ করে মোট তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এর আগে শ্রীবরদী উপজেলায় হাতি হত্যায় প্রথমবারের মামলা করলে চারজন কারাগারে যান। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে শুধু শেরপুরে ২৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় হাতির আক্রমণে তিন কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে বর্তমানে গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা