আপডেট : ১৭ মে, ২০২৩ ১৫:০৯
থাইল্যান্ডের নতুন নেতা পিটা লিমজারাট কে?
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

থাইল্যান্ডের নতুন নেতা পিটা লিমজারাট কে?

পিটা লিমজারাট

থাইল্যান্ডের পিটা লিমজারাটের দল মুভ ফরোয়ার্ডের তরুণ সমর্থকরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছে। তারা যেন নয়া ইতিহাস গড়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন। গত রোববারের নির্বাচনে সেনা সমর্থিত দলগুলোকে পেছনে ফেলে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড। অন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার পরিকল্পনা করছে তারা। সবকিছু ঠিকমতো হলে দলটির ৪২ বছর বয়সী নেতা পিটা লিমজারাটই হবেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।

পিটা লিমজারাটের জন্ম থাইল্যান্ডের এক ধনী পরিবারে। রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার পরিবারের। তার বাবা ছিলেন থাইল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং তার চাচা ছিলেন থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

পিটা লিমজারাট রাজনীতিতে তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন নিউজিল্যান্ডে স্কুলে ছাত্র থাকাকালে। তিনি থাইল্যান্ডের থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স করেন। এমবিএ করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে।

তবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়ে। পরে তিনি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গ্র্যাবের নির্বাহী পরিচালকও ছিলেন। বিয়ে করেছিলেন থাই অভিনেত্রী এবং মডেল চুটিমা টিনপানাটকে, পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এখন তিনি তার সাত বছর বয়সী মেয়ে পিপিমকে নিয়ে একাই থাকেন।

২০২০ সালে থাইল্যান্ডে প্রায় মাসখানেক ধরে ছাত্রদের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘মুভ ফরোয়ার্ড’ পার্টি। এবার নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড প্রার্থীদের অনেকেই ছিলেন সেই আন্দোলনের নেতা। আর ২০২০ সালের সেই বিক্ষোভের মতো মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয়েও বড় ভূমিকা রেখেছে তরুণ ও নিবেদিতপ্রাণ ভোটাররা।

২০১৯ সালে ‘ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি’ থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে পিটা লিমজারাটের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীকালে ‘মুভ ফরোয়ার্ড’ পার্টি গঠন করে তাকে নতুন নেতা নির্বাচন করা হয়।

পিটা লিমজারাটকে একসময় বলা হতো থাইল্যান্ড পার্লামেন্টের ‘উদীয়মান নেতা’। বিরোধী এমপি হিসেবে পিটা লিমজারাট পার্লামেন্টে যেসব বক্তৃতা দেন, তা দ্রুত সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনি রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা এবং রাজতন্ত্র-সম্পর্কিত আইনে সংস্কারের পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়ে কথা বলতেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।