আপডেট : ১৭ মে, ২০২৩ ১৬:০০
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কে- মাদ্রিদ না সিটি?
ক্রীড়া ডেস্ক

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কে- মাদ্রিদ না সিটি?

প্রথম লেগ ১-১ সমতায়। চ্যাম্পিয়নস লিগ এখন আর ঘরের মাঠ-পরের মাঠ নিয়ে ভাবে না, ‘অ্যাওয়ে গোল’-এর নিয়ম তো এখন আর নেই। ঘর আর পরের মাঠের ব্যবধান এখন শুধু মাঠে থাকা দর্শকের গলার আওয়াজে।

তা ইতিহাদে আজ রেয়াল মাদ্রিদকে ভয় ধরানোর মতো গলার আওয়াজ ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকদের থাকবে?

ঘরের মাঠে ম্যাচ বলে ম্যান সিটির কিছুটা আশার জোর বাড়তে পারে ঘরের মাঠে তাদের সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ইতিহাদে হারেনি পেপ গার্দিওলার দল, এই ১৪ ম্যাচে ৪৯ গোল করার বিপরীতে খেয়েছে মাত্র ৭টি।

আর হিসাবটা যদি হয় পরের মাঠে রেয়াল মাদ্রিদের রেকর্ডের, তা হলে ম্যান সিটির জন্য আশাও জোগাবে, শঙ্কাও জাগাবে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ড্র করে দ্বিতীয় লেগে পরের মাঠে নেমেছে- চ্যাম্পিয়নস লিগে মাদ্রিদের এমন অভিজ্ঞতা ৯ বারের। তার মধ্যে ৭ বারই অভিজ্ঞতাটা সুখকর নয়, বাদ পড়েছে মাদ্রিদ- এটা ম্যান সিটির জন্য আশার বাণী।

আর শঙ্কা- বাকি যে দুবার মাদ্রিদ পরের লেগে গেছে, দুবারই দ্বিতীয় লেগটা ছিল ম্যানচেস্টারে, ২০০০ ও ২০০৩ সালে। ম্যান সিটি তো তখন ইউরোপে অচ্ছুত ছিল, মাদ্রিদের ওই দুবারের উদযাপনের ঘটনা তাদের প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে।

অবশ্য এত রেকর্ড-টেকর্ড ঘাঁটার কী দরকার! ম্যান সিটি শুধু একটা তথ্যেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে- এবার দ্বিতীয় লেগটা তো আর মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে খেলতে হচ্ছে না। কারণ? আরে, গত মৌসুমের কথা ভুলে গেলে চলবে? সেটাও তো সেমিফাইনালই ছিল। সেবার দ্বিতীয় লেগের ৮৯ মিনিটেও ৫-৪ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি, কিন্তু ফাইনালে উঠে শিরোপাও জিতে যায় মাদ্রিদই। বের্নাব্যু সেদিন রেঙেছিল রদ্রিগোর ছোঁয়ায়!

এবার ইতিহাদ রাঙাবে কে?

রদ্রিগো নাজারিও

রোনালদো নাজারিওকে তিনি আদর্শ মানেন। গতকাল প্রস্তুতির সময়ও রোনালদো লেখা ব্রাজিলের ৯ নম্বর জার্সি পরেই জিম করেছেন রদ্রিগো। আর এই ‘রদ্রিগো নাজারিও’কেই চাইবে মাদ্রিদ। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের হিসাবে তো রোনালদোকে ছাড়িয়েই গেছেন রদ্রিগো। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল ছিল ১৪টি, রদ্রিগোর এরই মধ্যে ১৫ গোল হয়ে গেছে!

ভয় দেখাও

প্রথম লেগে আর্লিং হলান্ডকে বোতলবন্দি করেই রেখেছিল রেয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগেও নিশ্চয়ই ম্যান সিটি স্ট্রাইকারের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আছে তাদের। এর মধ্যেও বাড়তি একটা পরামর্শ মাদ্রিদের জন্য দিয়ে রেখেছেন আর্সেনালের সাবেক ডিফেন্ডার মার্টিন কিওন, ‘ওদের জার্মান ডিফেন্ডারকে (রুডিগার) দাপট দেখাতে হবে। হলান্ডের এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ও যে কাউকে টেক্কা দিতে পারবে, কিন্তু আপনাকে ওর মনে সংশয় ঢোকাতে হবে। সে ক্ষেত্রে এভারটনের ইয়েরাই মিনার মতো দরকারে ডার্ক আর্টের আশ্রয়ও নিতে হতে পারে। সেটা গুঁতো দিয়ে হোক, ‘ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনায়’ ওর পা মাড়িয়ে হোক। আপনাকে ওর মাথার ভেতরে ঢুকে যেতে হবে। ওকে ভয় দেখাতে হবে।’

ভিনিকে আলিঙ্গনের কারণ...

প্রথম লেগে ম্যাচের পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে আলিঙ্গনে বেঁধেছিলেন ম্যাচজুড়ে প্রায় পুরোটা সময় তাকে চোখে-চোখে রাখা ম্যান সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। কারণটা ওয়াকার জানালেন কাল সংবাদ সম্মেলনে, ‘ও আমার ওপর রেইনবো (পেছনে থাকা বলকে পায়ের নাচনে প্রতিপক্ষের মাথার ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া) করার চেষ্টা করেছিল। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, ‘এমনটা আর কোরো না প্লিজ।’

অবশ্য ভিনিকে হুঁশিয়ারও করে দিলেন ওয়াকার, ‘আগামীকাল খেলার সুযোগ পেলে ম্যাচ শেষে ওকে আবার এই সম্মানটা আমি দেখাব। তবে এর আগে ম্যাচে... কুকুরের মাংস কুকুরে খাবে!’