আপডেট : ১৮ মে, ২০২৩ ১৮:২২
শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি জাতিসংঘেও: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি জাতিসংঘেও: তথ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমদু। ছবি: বাসস

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিকব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন ও জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ, অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে, যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ঝড় আসছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতঙ্কিত-শঙ্কিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সে সময় কোথায় মোখা যাতে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, সে জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’

আর এখন তো মোখা পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, মোখার মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। ওনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন, এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও নাকি দেবেন। ওনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সব কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নেই, সে জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।’