আপডেট : ১৯ মে, ২০২৩ ১৯:৩৫
বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ
খুলনা ব্যুরো

বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ

আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। এসময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেলও ছোড়া হয়। বিএনপির দাবি, এতে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ‘সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ প্রেস ক্লাব চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশে দলের নেতা-কর্মীদের একটি মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘাত শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, দিঘলিয়া সেনহাটি ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করতে গুলি, টিয়ার শেল ও লাঠিচার্জ করেছে। অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে। কিন্তু খুলনায় কেন প্রত্যেকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এভাবে পুলিশ উসকানি দিয়ে টিয়ার শেল মারবে? পুলিশ আমাদের ওপরে টিয়ার শেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। আজকে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্যর শুরু করা মাত্র মুহুর্মুহু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে টিয়ার শেল-গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা কেন আসবে?

এ প্রসঙ্গে খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির একটি কর্মীসভা ছিল। তারা খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রোগ্রাম করছিল। কিন্তু তাদের নেতৃস্থানীয় নেতারা আসার পর বেশ কিছু নেতা-কর্মী রাস্তায় বসে যায়। রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরা পেছনে সরে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ার শেল এবং গ্যাস গান নিক্ষেপ করি। এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। আমাদের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানতে পারবো।