তিন দিনের ব্যবধানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) আরেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সাধুর মোড় এলাকার রহিমা লজ থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত শিক্ষার্থী সামিউর রহমান রুয়েট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী এবং রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার নর্থ রোডের বাসিন্দা আব্দুর রহমান সরকারের ছেলে।
এর আগে গত ১৭ মে দুপুরে রুয়েটের শহীদ শহীদুল্লাহ হল থেকে তানভীর আহমেদ (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী রুয়েট মেকানিক্যাল বিভাগের ১৮ সিরিজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় মতিহার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে নগরীর সাধুর মোড় এলাকার রহিমা লজ ছাত্রাবাসের দরজা ভেঙে সামিউর রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে মরদেহ বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, শনিবার রাতে ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। এ সময় দরজা ভাঙার জন্য রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদরদপ্তরের স্টেশন অফিসার লতিফুর বারির নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যান। তারা গিয়ে দরজার লক ভেঙে দিলে ভেতরে ঢুকে সামিউর রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, সামিউর রহমান আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হবে বলেও জানান বোয়ালিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা