মাজারের ওরশে হয় পরিচয়। তারপর অর্থের বিনিময়ে ‘একান্তে সময়’ কাটানোর কথা বলে নারীকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান দুই যুবক। সেখানে ওই নারী মোবাইল ফোনে কথা বলার পর হঠাৎ অন্য দুই যুবক ঢুকে সময় কাটাতে নিয়ে আসা দুই যুবকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে সেই দুই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে পাশের বালুর মাঠে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুরির তালতলা এলাকায় তিন দিন আগের এই ঘটনার প্রধান আসামি কমলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
কমলকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে পুলিশ জানায়, গত ১৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুরির তালতলা এলাকার একটি পরিত্যক্ত বালুর মাঠ থেকে নাসরিন আক্তার নামে মধ্যবয়সী ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বেরিয়ে আসে ওই নারীকে হত্যার রহস্য।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল বলেন, ঘটনার রাতে পাঙ্খা শাহর মাজারে যান নাসরিন আক্তার। সেখানে গান চলাকালে কমল ও অভি নামে দুই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একসঙ্গে চা পান করার সময় অর্থের বিনিময়ে দুই যুবকের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে রাজি হন নাসরিন। এরপর দুই যুবক মধ্য রাতে ওই নারীকে নিয়ে যান পরিত্যক্ত একটি ঘরে। এর মধ্যে ওই নারী মোবাইল ফোনে কথা বলেন। খানিকবাদে সেখানে হঠাৎ প্রবেশ করে অন্য দুই যুবক। তারা কমল ও অভির সঙ্গে থাকা নয় হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। আর এতে তারা ক্ষিপ্ত হন। কিন্তু ক্ষোভ লুকিয়ে কমল ও অভি কৌশলে আরও অর্থ দিয়ে ওই নারীকে একান্তে সময় কাটানোর কথা বলেন। নাসরিন রাজি হলে তাকে পাশের বালুর মাঠে নিয়ে যান। সেখানে চাদর দিয়ে নাসরিনের হাত-পা বেঁধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ওই দুই যুবক। পরে তারা সেখান থেকে সটকে পড়েন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা