অপূর্ণ রুবেল
সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তি পেয়েছে গতকাল শুক্রবার। মুক্তির আগে ও পরে তুমুল প্রচারে ব্যস্ত আছেন সিয়াম আহমেদসহ সব তারকাই। গতর্কালও হলে হলে প্রচারের ফাঁকে নিজের চরিত্র নিয়ে কথা বলেছেন সিয়াম আহমেদ।
বেশ কিছুদিন ধরে ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর প্রচার করছেন। প্রচারে গিয়ে কেমন লাগছে?
খুব ভালো। এক্সিলেন্ট। নিজের ফিল্ম প্রমোট করা বিশেষ করে এই সিনেমার সঙ্গে এত মানুষ জড়িত যে তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রমোট করার আনন্দই অন্য রকম। সিনেমার সঙ্গে কিন্তু শুধু আমরা না, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশনের ছেলেটাও জড়িত। সবাই কিন্তু সাড়ে তিন-চার বছর ধরে অপেক্ষা করছে। জানতে চাইছে তাদের পরিশ্রমের ফসলটা কেমন হলো, দর্শকরা কী বলছেন। তো দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের এই প্রচার।
সিনেমাটি মুক্তির পর এমন কেউ ফোন বা দেখা করে উইশ করেছেন, যেটা মনে রাখার মতো?
এখন অবধি অনেক ফোন পেয়েছি, রিভিউ পেয়েছি, ট্যাগ পেয়েছি। যারা সিনেমা দেখেছেন সবাই আমার কাছে স্পেশাল। তারা একেবারে অরিজিনাল অডিয়েন্স। বিশেষ কারও কাছ থেকে যেমন উইশ পেতে ভালো লাগে, তেমনি সাধারণ দর্শকের কাছ থেকেও পেতে ভালো লাগে। তবে আপনি যেটা জানতে চেয়েছেন সে রকম কেউ ফোন করেনি।
‘অপারেশন সুন্দরবন’-এ আপনি মেজর সায়েম সাদাত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রে ঠিকঠাক হয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
মেজর সায়েম সাদাতকে আমি আসলে অপরিচিত কেউ বানাতে চাইছিলাম না। আমার অনেক বন্ধু ডিফেন্সে গিয়েছে, আমি তাদের দেখেছি। তাদের ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু খুব সহজ। তারা দেশ রাজনীতি থেকে শুরু করে সবই জানেন। সায়েম সাদাতও সে রকম। মেজর সায়েম চরিত্রের সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ও কিন্তু অনেক কিছু করতে চায়, চেষ্টা করে, কিন্তু মিশনে গিয়ে ফেল করে। আবার নিজের মধ্যে স্পিরিট তৈরি করে।
এই সিনেমায় আরও বড় মাপের অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তাদের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করেছেন কি?
না। সে রকম কোনো চাপ মনে হয়নি। আমার জন্য বড় চাপ ছিল মেজর সায়েম সাদাতকে ঠিকমতো পর্দায় দেখাতে পারব কি না। দর্শকরা তাকে বিশ্বাস করবে কি না। চরিত্রটা বিশ্বাসযোগ্য হলে তবেই সব পরিশ্রম সার্থক মনে হবে।
‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসানসহ অনেক তারকা অভিনীত ছবি ‘বিউটি সার্কাস’। সেটা কি দেখতে যাবেন?
অবশ্যই যাব। সঙ্গে দর্শকদেরও বলব সময়-সুযোগমতো ‘বিউটি সার্কাস’ দেখুন। পরিচালক মাহমুদ দিদার ভাই অনেক ধরে চেষ্টা করছিলেন সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার। অবশেষে হলো। ওই ছবিতে আমার খুব প্রিয় মানুষ অভিনয় করেছন। তাই দর্শকদের বলব, ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর পাশাপাশি ‘বিউটি সার্কাস’ও দেখুন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা