আপডেট : ২৩ মে, ২০২৩ ১৮:১৩
রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, বাসে আগুন-ভাঙচুর

রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, বাসে আগুন-ভাঙচুর

সংঘর্ষ চলাকালে বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করেছে পুলিশ।

সংঘর্ষের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদযাত্রার পেছনের দিক থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতা-কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় ঢাকা নগর পরিবহনের ২৬ নম্বর রুটের বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাসের সামনের দিকের দুটি সিটেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রাটি সাত মসজিদ রোড, রাইফেল স্কয়ার, ঢাকা সিটি কলেজ, সায়েন্স ল্যাব, বাটা সিগন্যাল ও কাঁটাবন মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্ত স্কয়ারের সামনে থেকে সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

বিকেল ৪টার কিছু আগে পদযাত্রা নিয়ে নেতা-কর্মীরা সিটি কলেজের সামনে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিলে অংশ নেয়া কিছু নেতা-কর্মী ওই স্থানে দেয়া পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুর করেন।

সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আজ বিএনপির একটি পদযাত্রা ছিল পূর্বনির্ধারিত। বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবেই তারা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিল পদযাত্রায়।’

ছবি: সংগৃহীত

‘সামনের সারিতে যেসব নেতা-কর্মী ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এই পর্যন্ত (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) এসে তাদের যা করার কথা ছিল তা-ই করেছেন। সিনিয়র সব লিডার চলে যান। কিন্তু পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধর করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করে।’

উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘এই হামলার ঘটনা চলার মাঝেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেন। তাতে ব্যর্থ হয়ে তারা বাসটির গ্লাস ভেঙেছেন। এই সংঘর্ষে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না ঘটালেও পারত। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’