খুলনার কয়রায় গৃহবধূরকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রতিবেশি আবদুল খালেক গাজী, সাইফুল গাজী, আবদুল মালেক গাজী ও নূর আলম গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি কুচির মোড়ে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। রাতেই তাকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার জন্য ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে গৃহবধূর মুখের বাম দিকের কিছু অংশ, গলার বাম পাশ ও বাম হাতের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাতে আমার নানা গফফার গাজীকে মারধর করে খালেক গাজীসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়। ওই রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। তখন মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দ্রুত তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে গত ১১ জুলাই সকালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খালেক গাজী, আনিচ গাজীসহ কয়েকজন মিলে মাকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘ওই নারীর শরীরে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছে। তবে সেটা অ্যাসিড কি না তা ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। অ্যাসিড জাতীয় পদার্থের মতোই মনে হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা বলেন, ‘ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা